আনো আনো অমৃত বারি (ano ano omrito bari)
আনো আনো অমৃত বারি।
পিপাসিত চিত্তের তৃষ্ণা নিবারি॥
আনো নন্দন হতে পারিজাত-কেশর
তীর্থ-সলিল আনো ভরি’ মঙ্গল-হেম-ঝারি॥
প্রখর সূর্যকরে দহিছে দিগন্তর,
মন্দাকিনী-ধারা সঞ্জীবনী আনো নারী॥
- ভাবসন্ধান: অমৃত প্রেমপ্রদায়িনী কোনো শাশ্বত নারী সত্তার প্রতি কবির প্রার্থনা ফুটে উঠেছে এই গানে। এই নারীর কাছে কবির প্রার্থনা- যেন সে অমৃতরূপী প্রেম-জলধারায় পিপাসিত চিত্তের তৃষ্ণাকে নিবারিত করে। গানটির স্থায়ীতে কবি এই নারীকে চেয়েছেন কল্যাণীরূপে।
প্রথম অন্তরায়, কল্যাণময়ীর এই নারীর কাছে কবি প্রার্থনাই ভিন্ন উপমায় উপস্থাপিত হয়েছে। তিনি এই কল্যাণীর কাছে প্রার্থনা করেছেন- স্বর্গের নন্দনকান হতে পারিজাত ফুলের কেশর-সৌরভ, প্রার্থনা করেছেন তীর্থক্ষেত্রের পবিত্র জল-ভরা স্বর্ণময় ঝারি। সব মিলিয়ে কবি এই শাশ্বতী নারীর কাছে চান- স্বর্গীয় অপার অনুভব।
প্রখর অগ্নিবর্ষী সূর্যালোকে সমগ্র বিশ্ব চরাচর যেমন দগ্ধীভূত হয়, প্রেমহীন কবির চিত্ত তেমনি দশায় পতিত। এই শাশ্বত নারী কাছে কবির এই শেষ প্রার্থনা- যেন স্বর্গের মন্দাকিনী নদীর মতো তৃষ্ণানিবারি কল্যাণময়ী প্রেমধারায় সঞ্জীবিত করে তুলুক তৃষ্ণার্ত কবির চিত্তকে।
- রচনাকাল ও স্থান: রেকর্ড বুলেটিন সূত্রে জানা যায়- গানটি ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে শিল্পী শীতলচন্দ্র ঘোষ-এর কণ্ঠে এইচ.এম.ভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- রেকর্ড: এইচএমভি [জুলাই ১৯৩৭ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৪)। এন ৯৯২৫। শিল্পী: শীতল ঘোষ। সুর: সচীন চক্রবর্তী। রাগ: বৃন্দাবনী সারং। তাল: ত্রিতাল [শ্রবণ নমুনা]
- অন্যান্য শিল্পী: [মাসুদা আনাম (শ্রবণ নমুনা)]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- রাগ: বৃন্দাবনী সারং
- তাল: ত্রিতাল