আবহায়াতের পানি দাও, মরি পিপাসায় (abhayater pani dao, mori pipasay)

আবহায়াতের পানি দাও, মরি পিপাসায়
শরণ নিলাম নবীজির মোবারক পা’য়॥
ভিখারিরে ফিরাবে কি শূন্য হাতে,
দয়ার সাগর তুমি যে মরু সাহারায়॥
অন্ধ আমি আঁধারে মরি ঘুরিয়া,
দেখাবে না-কি মোরে পথ, এই নিরাশায়॥
যে-মধু পিয়ে রহে না ক্ষুধা তৃষ্ণা,
মরার আগে সেই মধু দিও গো আমায়॥

  • ভাবসন্ধান: এই গানের মধ্য দিয়ে পূণ্যময় অনন্ত জীবনলাভের আশা উপস্থাপিত হয়েছে। আল্লাহর এই পরমদান পাওয়ার ক্ষমতা কবির নেই। এই গানের জীবনবারি হলো পূণ্যময় অনন্তজীবন পাওয়ার উপকরণ মাত্র। এবং জীবনবারিই হলো আল্লাহকে পাওয়ার সাধনার ফল। কবি জানেন মুরশিদরূপী নবিজি ছাড়া আবহায়াতের পানির (সেই নদীর পানি অমৃত তুল্য, জীবনবারি) সন্ধান পাওয়া সম্ভব নয়। তাই  নবিজির মোবারক (কল্যাণময়) পায়ে কবির এই সকাতর নিবেদন।

    কবির দৃঢ় বিশ্বাস নবিজি তাঁর প্রার্থনার প্রসারিত হাত ফিরিয়ে দেবেন না। করুণা তিন এই মরুময় কঠিন জগতের মাঝে দয়ার সাগরের তুল্য। তিনিই হৃদয়ের মরুময় চলার পথে পথিককে দেখাবেন আবহায়াতের পানি পাওয়ার সুপথ। কবি তাঁর জীবদ্দশায় এই জীবনবারি পেতে চান। কারণ কবি জানেন, এই পানির গুণে ক্ষুধা-তৃষ্ণা (পার্থিব আকাঙ্ক্ষা)। মৃত্যর আগেই তিনি এই জীবনবারির সন্ধান করেছেন।

     
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৭) মাসে, টুইন থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৪ মাস।
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২)-এর ১০৬১ সংখ্যক গান। তাল: দাদরা পৃষ্ঠা: ৩২৫।
  • রেকর্ড: টুইন [অক্টোবর ১৯৪০ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৭)]। এফটি ১৩৪৫৭। শিল্পী: পিয়ারু কাওয়াল [শ্রবণ নমুনা]
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:  সেলিনা হোসেন [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, তেতাল্লিশতম খণ্ড, আষাঢ় ১৪২৫] গান সংখ্যা ২। পৃষ্ঠা: ২২-২৬ [নমুনা]
  • সুরকার: পিয়ারু কাওয়াল
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলামি গান, নাত-এ রসুল।
    • সুরাঙ্গ: কাওয়ালি
      • তাল: কাহারবা
      • গ্রহস্বর:  স [স্বরলিপিতে নির্দেশিত আছে, মধ্যমকে স ধরে গাইতে হবে]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।