আবার ভালোবাসার সাধ জাগে (abar bhalobashar sadh jage)
আবার ভালোবাসার সাধ জাগে।
সেই পুরাতন চাঁদ আমার চোখে আজ নূতন লাগে॥
যে ফুল দলিয়াছি নিঠুর পায়ে
সাধ যায় ধরি তারে বক্ষে জড়ায়ে,
উদাসীন হিয়া হায় রেঙে ওঠে অবেলায় সোনার গোধূলি-রাগে॥
আবার ফাগুন-সমীর কেন বহে,
আমার ভুবন ভরি’ কেঁদে ওঠে বাঁশরি অসীম বিরহে।
তপোবনের বুকে ঝর্ণার সম
কে এলে সহসা হে প্রিয়তম,
মাথুরের গোকুল সহসা রাঙাইলে রাসের কুঙ্কুম-ফাগে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুলাই [বৃহস্পতিবার, ২৪ আষাঢ়, ১৩৪৯] কলকাতা বেতারকেন্দ্রে 'হারামণি' নামক লুপ্তরাগ অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান করার জন্য আসেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি গান করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় অনুষ্ঠানের পরিচালক নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় কবির আকস্মিক অসুস্থার কথা স্রোতাদের জানিয়ে দেন। কলকাতা বেতারকেন্দ্রে এটাই ছিল নজরুলের শেষ অনুষ্ঠান । এরপর ধীরে ধীরে নজরুল তাঁর সৃজনশীল ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। সম্ভবত মদিনা নাটকটি রচনায় হাত দিয়েছিলেন তাঁর এই অসুস্থতার কিছু আগে। এই বিচারে ধারণ করা যংআয়, নজরুল এই নাটকের গান হিসেবে, এই গানটি রচনা করেছিলেন- ৪২ বৎসর বয়সে।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১০৬৪। রাগ: নাগস্বরাবলী / ইমন-পূরবী, তাল: কাহার্বা। পৃষ্ঠা ৩২৫-৩২৬]
- মদিনা
- নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণ অষ্টম খণ্ডে [১২ই ভাদ্র ১৪১৫, ২৭শে আগষ্ট ২০০৮। মদিনা। ১০। আমার 'মদিনা' নাটকে.../ (শৈল দেবী)/ঠুমর-তেতালা। পৃষ্ঠা: ৩০৪।]
- পত্রিকা
- নজরুল ইন্সটিটিউট পত্রিকা, ঢাকা [জ্যৈষ্ঠ ১৩৯২ (মে-জুন ১৯৮৫)। মদিনা।]
- নজরুল ইন্সটিটিউট পত্রিকা, ঢাকা [জ্যৈষ্ঠ ১৩৯২ (মে-জুন ১৯৮৫)। মদিনা।]
- সুরাঙ্গ: ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর 'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা' [নজরুল ইনস্টিটিউট, পৃষ্ঠা জুন ২০১৮, পৃষ্ঠা: ৩৩] গ্রন্থে এই গানের রাগ সম্পর্কে লিখেছেন- 'পাণ্ডুলিপিতে কবির সুর নির্দেশ নাগস্বরাবলী রাগে। পরবর্তীকালে স্বরলিপি গ্রন্থগুলিতে সে সুর পরিবর্তিত হয়েছে এবং সুর ইমন-পুরবী। এ সুর প্রামাণ্য নয়।