আমার গলার হার খুলে লে (amar golar har khule le)

আমার গলার হার খুলে লে।
ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে।
ওলো ললিতে, ওলো ললিতে,
আমার প্রাণ বঁধু কাঁদতে গেছে, যমুনার ঐ জলেতে।
আমার গলার হার খুলে লে॥
আমার হারের কি আর শোভা আছে,
যাঁর শোভা তাঁর সঙ্গে গেছে লো,
ওলো সখি, আমি যাব যমুনার ঐ কূলেতে।
আমার গলার হার খুলে লে॥

এই গানের সুর পাওয়া যায় না। তবে এই গানের বাণীর সাথে আব্বাসউদ্দীনের গাওয়া একটি গানের বেশ মিল পাওয়া যায়। গানটি হলো-
    আমার গলার হার খুলেনে ওগো ললিতে।
    আমার হার প’রে আর কি ফল আছে গো,
            প্রাণবন্ধু নাই ব্রজেতে।
        গলার হার কি আর শোভা আছে,
        যার শোভা তার সঙ্গে গেছে গো,
    এখন কৃষ্ণ নামের মালা গেঁথে
        দেনা আমার গলেতে।
    আর বিসাখা নে হাতের বালা,

চম্পকা নে গলার মালা গো,
সুচিত্রা নে কানের পাশা
আশা নাই আর বাঁচিতে।
প্রাণের বন্ধু যদি আসে দেশে
বলিস্‌ তোরা বন্ধুর কাছে গো,
রাই কৃষ্ণ শোকে প্রাণ ত্যজেছে যমুনার জলেতে।

  • রচনাকাল: ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ (১৩১৭-১৩১৯ বঙ্গাব্দ)। বরধ্মান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে, নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসর বয়সের রচনা।
     
  • গ্রন্থ:
    • দুখুমিয়ার লেটো গান। লেটো গান। রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গান। ২৫শ গান।  সংকলক ও সম্পাদক: মুহম্মদ আয়ুব হোসেন। বিশ্বকোষ পরিষদ। নজরুল ফাউন্ডেশন। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪১০, ৬ ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ৪০৪।
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। গান সংখ্যা ২৯১২]
  • বিষয়াঙ্গ: রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গান। ভণিতা নাই।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।