আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা (amar priyo hojrot nobi komoliwala)

আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা॥
যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল্ গাঁথে যাঁর মালা॥
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম
কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা॥
পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতালা॥

  • ভাবসন্ধান: এই গানে কবির কল্পবাস্তবের রূপকতায়- ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর বন্দনা করা হয়েছে।  ভক্তের কাছে তাঁর প্রিয় নবি হলেন  কমলিওয়ালা (যিনি নিষ্কলুষ ও পবিত্র ), যাঁর জ্ঞানের আলোকে ইহকাল ও পরকাল আলোকিত। কবি কল্পলোকে অনুভব করেন- এই নবিকে খুঁজে ফেরে অগণন গ্রহ-তারা। ঈদের চাঁদে পাওয়া যায় তাঁর সন্ধানী-সঙ্গেত। বাগনের গোলাপ ফুল ফোটে যেন তাঁরই জন্য।

    আউলিয়া (সংসারত্যাগী সহজিয়া সাধক), আম্বিয়া (নবীগণ) ও  দরবেশ (সংসারত্যাগী সুফি সাধক)- এঁরা সবাই খোদার পরেই তাঁর নাম জপ করেন। কিয়ামতের দিনে এই নবি কওসরের (বেহেস্তের পানীয়) পেয়ালা হাতে তাঁর অনুসারীদের পাশে দাঁড়াবেন। এই নবীর ফজিলতে (গুণপনাতে), তৌহিদ ( এক ও অদ্বিতীয় সত্তা ) ভাবদর্শনের পাপে-নিমজ্জিত পার্থিব জগৎ সুমধুর স্রোতে রক্ষা পেয়েছে। কবি মনে করেন এই নবির মহিমা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।

     
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৪) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৩ মাস।
     
  • রেকর্ড: টুইন [সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৪)]। এফটি ১২১০০। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন। [শ্রবণ নমুনা]
     
  • সুরকার: সুবল দাশ
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলাম ধর্ম। নাত-এ রসুল।
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্টের সুর

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।