আমার বিছানা আছে বালিস আছে (amar bichhana ache balis achhe)
'বারোমাসী বৌ-বিরহ' তাল: ফেরতা (দাদরা ও কাহারবা)
আমার বিছানা আছে বালিস আছে বৌ নাই মোর খাটে
(ওগো) তার বিরহে বারোটা মাস কেমন ক‘রে কাটে ও দাদা গো॥
বৈশাখ মাস, বৈশাখে প্রাণ ভঁয়সা যেন ধুঁকে রোদের তাঁতে (বাবু গো)
হাত-পাখা আর নড়ে না ভাই রাতে প্রিয়ার হাতে
জৈষ্ঠি মাস, জৈষ্ঠ্যি মাসের গরমে হিয়ার গুষ্টি শুদ্ধ ফাটে ও দাদা গো॥
আষাঢ় মাস, আষাঢ় মাসে কটকটে ব্যাঙ ছট্ফটিয়ে কাঁদে
ওগো চুলকানি যে উঠলো বেড়ে প্রেমের মইষা দাদে
শ্রাবণ মাস, শ্রাবণ মসে রাবুণে প্রেম জাগে জলের ছাটে, ও দাদা গো॥
ভাদ্র মাস, ভাদ্র মাসে আপনার বৌ হলো ভাদ্র বধূ (বাবু গো)
আশ্বিন মাসে চাখলাম না হায় পূজার মজার মধু
আমার পরান লাফায় পাঁঠা যেমন দাপায় হাঁড়িকাঠে ও দাদা গো॥
কার্তিক মাস, কার্তিকে মোর ময়ূরী এই কার্তিককে ফেলে (ওরে)
ও তার দাদার ঘরের রাধা হয়ে বেড়ায় পেখম মেলে
অঘ্রাণ, অঘ্রাণে ধান কাটে চাষা আমার কেঁদে কাটে ও দাদা গো॥
পৌষ মাস, পৌষে আমার বৌ সে কোথায় গুড়ের পিঠা খায় (বাবু গো)
আর হেথায় আমার জিহ্বা দিয়া নাল ঝরিয়া যায়
মাঘ মাস, ওরে মাঘ মাসে যার মাগ নাই সে যাক না শ্মশান ঘাটে ও বাবু গো॥
ফাল্গুন মাস, ফাল্গুনে ছাই ডাল-নুনে কি মেটে প্রেমের খিদে
হাতের কাছে কাকে খুঁজি রাতের বেলায় নিদে (আমি)
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ১১ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি। মে ১৯৪০ (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)। এন ১৭৪৬০। শিরোনাম: বারোমাসী বৌ বিরহ। রঞ্জিত রায় ও কুমারী স্বর্ণ বসু
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ছাব্বিশ খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আশ্বিন, ১৪১২ বঙ্গাব্দে /সেপ্টেম্বর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] দ্বিতীয় গান। [নমুনা]
- পর্যায়: