আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী (amar ma je gopal sundori)

        আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী।
 যেন  এক বৃন্তে কৃষ্ণ-কলি অপরাজিতার মঞ্জরি॥
   মা  আধেক পুরুষ অর্ধ অঙ্গে নারী
        আধেক কালি আধেক বংশীধারী,
        অর্দ্ধ অঙ্গে পীতাম্বর আর অর্ধ অঙ্গে দিগম্বরী॥
   মা  সেই পায়ে প্রেম-কুসুম ফোটায় নূপুর-পরা যে চরণ,
 মা’র  সেই পায়ে রয় সর্প-বলয় যে পায়ে প্রলয়-মরণ।
        মার আধ-ললাটে অগ্নি-তিলক জ্বলে
        চন্দ্রলেখা আধেক ললাট তলে,
        শক্তিতে আর ভক্তিতে মা আছেন যুগল রূপ ধরি’॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ  ১৯৩৯ (ফাল্গুন-চৈত্র১৩৪৬) মাসে মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৯ মাস।
     
  • বেতার:
    • রক্তজবা । (গীতিচিত্র),। রচয়িতা: অবিনাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ২০ নভেম্বর ১৯৩৯ (সোমবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬.১০।
      • সূত্র:
        • বেতার জগৎ। ১০ম বর্ষ, ২২শ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ৮৭৭
        •  নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমী। মার্চ ১৯৯৯। পৃষ্ঠা: ৭৬।
  • রেকর্ড:
    • মেগাফোন। মার্চ ১৯৪০ (ফাল্গুন-চৈত্র১৩৪৬)। জেএনজি ৫৪৫৬। শিল্পী: ভবানী দাস [শ্রবণ নমুনা] [বিভাস রঞ্জন মৈত্র (শ্রবণ নমুনা)]
    • এইচএমভি। নিতাই ঘটকের প্রশিক্ষণে পদ্মরাণীর কণ্ঠে গানটি রেকর্ড হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি। [সূত্র: নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। গান সংখ্যা: ১৮১]
       
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
    • আহসান মুর্শেদ [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০)। ১৩ সংখ্যক  গান। রেকর্ডে ভবানী দাস -এর গাওয়া সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। পৃষ্ঠ: ৪৪-৪৭][নমুনা]
       
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, শাক্ত)
    • সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
    • রাগ: কৌশিক কানাড়া
    • তাল: তেওরা
    • গ্রহস্বর: সা

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।