আমার মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি (amar manos-bone phuteche re shyama-lotar monjori)

আমার  মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
   সেই  মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি॥
            সেথা  আনন্দে দেয় করতালি
                    প্রেমের কিশোর বনমালী,
   সেই  লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি॥
          কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
          শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
                    এই লতারই ফুল-সুবাসে
                    কোটি চন্দ্র সূর্য আসে নীল আকাশে,
    এই  লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ১ মাস।
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইন্সটিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১১। ১০৮৪ সংখ্যক গান।
  • রেকর্ড: এইচএমভি [জুলাই ১৯৩৮ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৫)। এন ১৭১৬২। শিল্পী: গিরীন চক্রবর্তী
  • বেতার:
    • রক্তজবা । (গীতিচিত্র),। রচয়িতা: অবিনাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ২০ নভেম্বর ১৯৩৯ (সোমবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬.১০।
      • সূত্র:
        • বেতার জগৎ। ১০ম বর্ষ, ২২শ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ৮৭৭
        •  নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমী। মার্চ ১৯৯৯। পৃষ্ঠা: ৭৬।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।