আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি (amar jokhon poth phurabe,ashbe gohin rati)
আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি (খোদা) —
তখন তুমি হাত ধ'রো মোর হ'য়ো পথের সাথি (খোদা)॥
অনেক কথা হয়নি বলা বলার সময় দিও, খোদা —
আমার তিমির অন্ধ চোখে দৃষ্টি দিও প্রিয়, খোদা
বিরাজ করো বুকে তোমার আরশখানি পাতি'॥
সারা জীবন কাটলো আমার বিরহে বঁধু,
পিপাসিত কণ্ঠে এসে দিও মিলন-মধু।
তুমি যেথায় থাক প্রিয় সেথায় যেন যাই, খোদা,
সখা ব'লে ডেকো আমায় দিদার যেন পাই, খোদা।
সারা জনম দুঃখ পেলাম, যেন এবার সুখে মাতি॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বুলবুল পত্রিকার কার্তিক ১৩৪৪ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৫ মাস।
- পত্রিকা: বুলবুল। কার্তিক ১৩৪৪ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৭)
- রেকর্ড:
- ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই (শুক্রবার ১৫ শ্রাবণ ১৩৪৯) নজরুলের সাথে এইচএমভি একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তিপত্রের গানটির উল্লেখ ছিল।
- টুইন [সেপ্টেম্বর ১৯৪২ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৯)। এফটি ১৩৮২৪। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ। সুর: দেলওয়ার হোসেন। [শ্রবন নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ফাল্গুন, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ/ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ] দ্বিতীয় গান। রেকর্ডের আব্বাসউদ্দীন আহমদের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [ইসলামী গান]
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: মা