আমারে চরণে দিও ঠাঁই (amare chorone dio thai)
আমারে চরণে দিও ঠাঁই
ও চরণ বিনা, ওহে গিরিধারী! কামনা কিছুই নাই॥
ব্যথিত হৃদয় হতে আকুল মরম বাণী,
থেকে থেকে ভেসে আসে, ফিরে এসো এসো রানী।
ফিরিতে পারি না আর অসীমে মিশিয়া যাই ─
তুমি ফিরে যাও সখা আমাতে আর আমি নাই॥
- ভাবসন্ধান: এই গানের রাধা-কৃষ্ণ দুটি পৃথক সত্তা, যাঁদের দেহগত বিচ্ছেদ ও মিলনের দ্বন্দ্ব অতিক্রম করে প্রেমের অসীমতাকে স্পর্শ করেছে। রাধা আত্মসমর্পণের পরম বাসনায় কৃষ্ণের চরণে ঠাঁই পেতে চান। মিলনের আহ্বান তাঁকে তাড়িত করে। তাঁর মর্মস্থলেও ধ্বনিত হয়ে কৃষ্ণের সকাতর আহ্বান 'ফিরে এসো রানী'। তবু রাধা ফিরতে পারেন না। সমাজ-সংস্কারে শৃঙ্খলে বাঁধা রাধা- কৃষ্ণকে ফিরে যেতে বলেন। এই প্রত্যাখ্যান এবং আহবানের দ্বন্দ্বে ব্যাকুল রাধা কৃষ্ণের অসীম প্রেম-সত্তার সাথে মিশে যান। দেহধারিণী রাধার আগের মতোই থাকেন, কিন্তু মনোজগতের মনোহরা রাধার রূপান্তর ঘটে যায় অলক্ষ্যে। সেখানে রাধা দেহগত প্রেমের ঊর্ধ্বে বিরাজ করেন কৃষ্ণের অসীম-প্রেমালোকের রানী হয়ে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১০৯০]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতনধর্ম। হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। রাধা-কৃষ্ণ-লীলা। অন্তর্দ্বন্দ্ব