অন্তরে তুমি আছ, প্রেমময় ওহে হরি ( ontore tumi accho, premomoy ohe hori )

অন্তরে তুমি আছ, প্রেমময় ওহে হরি।
দিয়েছ যে ভালোবাসা, তাই দিয়ে তোমারে বরি॥
            সে দিকে তোমারে দেখি
            কাতরে তোমারে ডাকি
            যে দিকে ফিরাই আঁখি
                    দাও হে আমারে তরি॥

  • ভাবানুসন্ধান: সনাতন হিন্দু ধর্মের জগতের পালনকর্তা বিষ্ণু। সকল বিপদ ও অশান্তি হরণকারী হিসেবে তাঁর অপর নাম হরি। ধ্রুব চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত এই গানে সরবত্র বিরাজমান প্রেমময় এবং ত্রাণকর্তারূপী হরির বন্দনা করা হয়েছে।

    মনের সকল ভাবের বিষয়ে তিনি অবগত হন বলেই- হরি অন্তর্যামী । একই সাথে তিনি জগতের কল্যাণ করেন বলে প্রেমময়। হরি তাঁর ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে কাছে টেনে নেন। মানুষ তাঁর ভালোবাসার স্পর্শে প্রেমময় হয়ে ওঠে। তাই এ গানের  শিল্পীর প্রেম তাঁর স্বোপার্জিত নয়। তিনি হরির প্রেম দিয়েই হরিকে ভালোবাসেন।

    তিনি সর্বত্র প্রেমময় হরিকে দেখতে পান। তাই শিল্পী পাপপূর্ণ অকল্যাণয় জগতের অকল্যাণের জন্য প্রেময় একমাত্র হরিকে স্মরণ করেন। জগতের কলুষতা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই শিল্পী তাঁর গানে সকাতরে ডাকছেন।

  • রচনাকাল ও স্থান: ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি ‘ধ্রুব’ নামক চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, কাজী নজরুল ইসলাম এই চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের কোনো এক সময়ে এই গানটি রচনা করেছিলেন।  এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৭ মাস।

  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০৯৪। সিনেমা: ধ্রুব। পৃষ্ঠা: ৯৪৯]

  • চলচ্চিত্র:  ধ্রুব। ক্রাউন টকি হাউস।  ১ জানুয়ারি ১৯৩৪ (সোমবার, ১৭ পৌষ ১৩৪০)।

  • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। বৈষ্ণব, বিষ্ণু, প্রার্থনা।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।