ঈদ মোবারক হোক আজি ঈদ (eid mobarok hok aji eid)

 

ঈদ মোবারক হোক আজি ঈদ মোবারক হোক!
সব ঘরে পঁহুচুক এ ঈদের চাঁদের আলোক॥
যে আছে আজ প্রাণের কাছে, আছে আপন পুরে
যে আছে পরদেশে যার লাগি নয়ন ঝুরে
আজ সবারে বারে বারে খোশ খবরি কো’ক্॥
আজের মত দিলে দিলে থাকুক মহাব্বত
আজের মত খুশি থাকুক সবার তবিয়ত্,
কারো যেন থাকে না আর দুঃখ-ব্যথা-শোক॥
আজের মত এক জামাতে মিলন ঈদগাহে
দাঁড়াই যেন চলি যেন খোদারই রাহে,
দীন ইস্‌লামের এ ক্যওমী যোশ জিন্দা হোক॥

  • ভাবসন্ধান: আগত ঈদের মহামিলন ও আনন্দের  মহিমা এই গানের উপস্থাপিত হয়েছে। এই বিচারে একে ঈদের আগমনী গান হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই গানটিকে  যে কোনো ঈদের গান হিসেবে ধরা যেতে পারে।

    কবি ঈদকে দেখেছে চেয়েছেন আনন্দ ও মিলনের পূর্ণাতায়। তাই তিনি কামনা করেন, ঈদের চাঁদ ঈদোৎসবে যে আনন্দ বয়ে আনে, তা যেন সবার ঘরে চন্দ্রালোকের স্নিগ্ধ আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে। গৃহে যে প্রিয়জন রয়েছে গভীর নৈকট্যে, প্রবাসী যে জন রয়েছে প্রিয়জন থেকে দূরে, উভয়ের জীবনে ঈদ আনন্দরূপী হয়ে আসুক।

    ঈদের মহিমা সবার হৃদয়ে বিরাজ করুক ভালোবাসার অর্ঘ্য হয়ে, সবার তবিয়ৎ (শারীরিক অবস্থা) সুস্থ থাকুক। এমন দিনে যেন কারো মনে দুঃখ-ব্যথা-শোক আঘাত না করে। সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবাই যেন ঈদের এক জামাতে এক হয়ে ঈদগাহের মিলনোৎসবে আল্লার রাহে (পথে) দাঁড়াতে পারে। ইসলাম ধর্মের এই সম্প্রদায়গত মিলনের আনন্দ যেন দীর্ঘজীবী হয়, কবি এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এই গানে।

     
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর  (অগ্রহায়ণ -পৌষ ১৩৪৩) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। সেই অনুযায়ী, ধারণা করা যায় যে, গানটি নজরুল ইসলামের ৩৭ বৎসর ৬ মাস বয়সে রচিত হয়েছিল।
     
  • রেকর্ড:
    • রেকর্ড: এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩৬ (অগ্রহায়ণ -পৌষ ১৩৪৩) এন ৯৮২৫। শিল্পী: লুৎফুন্নেসা
    • ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার, ১৩ মাঘ ১৩৪৩) নজরুলের সাথে রেকর্ড কোম্পানির চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে এই গানটির উল্লেখ ছিল।
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১১৫০। পৃষ্ঠা: ৩৫০]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসালমি গান। ঈদ। সাধারণ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।