ঈদের খুশির তুফানে আজ (eider khushir tufane aj)
ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো দো জাহান
এই তুফানে ডুবু ডুবু জমিন ও আসমান॥
ঈদের চাঁদের পান্সি ছেড়ে বেহেশ্ত্ হতে
কে পাঠালো এত খুশি দুখের জগতে
শোন ঈদ্গাহ হতে ভেসে আসে তাহারি আজান॥
- ভাবসন্ধান: ঈদল ফেতর রেকর্ড নাটকের জন্য রচিত এই গানে, ঈদের আনন্দোৎসবকে তুলে ধরা হয়েছে। কবিও এই আনন্দোৎসবের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি তাঁর কল্পলোকের আনন্দস্রোতে বিহার করেছেন অবাধে। তিনি অনুভব করেছেন- এই আনন্দোৎসবের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে দুই জাহান (স্বর্গ ও মর্ত), ভূমি ও আকাশ। তিনি ভেবে উঠতে পারছন না, ঈদের চাঁদের নৌকায় এই দুঃখের জগতে বেহেশ্ত থেকে কে এত খুশি পাঠলো, যার আগমন বার্তা ভেসে আজানের সুমধুর ধ্বনিতে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৩) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ৬ মাস।
- রেকর্ড: ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক। এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৩)। এন ৯৮২৪। শিল্পী: দলগত গান। কোরাস (মহিলা কণ্ঠ) [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ। নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চতুর্দশ খণ্ড (নজরুল ইন্সটিটিউট)। রেকর্ডে দলগত শিল্পীদের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। ষষ্ঠ গান [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলামি গান। বন্দনা। ঈদ। ঈদুল ফেতর।
- সুরাঙ্গ: স্বকীয়
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: পা