এ ঘনঘোর রাতে ঝুলন দোলায় (e ghonoghor raate)
এ ঘনঘোর রাতে
ঝুলন দোলায় দুলিবে মম সাথে॥
এসো নব জলধর শ্যামল সুন্দর
জড়ায়ে রাধার অঙ্গ বাঁশরি লয়ে হাতে॥
- ভাবসন্ধান: খেয়ালের তুক হিসেবে এই গানটি রচিত হয়েছিল। তাই এ গানে ভাবের বিস্তার ঘটে নি, শুধু আবেশ সৃষ্টি করেছে মাত্র।
কোনো এক ঘনঘোর বর্ষণমুখর রাতে ঝুলন দোলায় দোলার জন্য শ্যামকে আহবান করেছেন কোনো এক ব্রজনারী। তিনি আহবান করছেন শ্যামল সুন্দর নব জলধররূপী (মেঘ) শ্যামকে। যেন তিনি রাধার অঙ্গ জড়ায়ে ধরে, হাতে বাঁশি নিয়ে আসুক ঝুলনের এই মহোৎসবে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ ১৩৪৬) মাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৭ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৪০ (পৌষ-মাঘ ১৩৪৬)। রেকর্ড নম্বর ১৭৪০৬। শিল্পী: জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী। [শ্রবণ নমুনা]
- সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
ভাঙ্গা গান
হিন্দি মূল গান
সুরদাসী মল্লার-আড়া চৌতাল
এ গরজত আয়ো গরজত বদরবা
অতি হী সোহায়ে॥
রুমে ঝুম চহুঁ ঔরতে বরসে
সদারঙ্গ অতি হী সুখ পায়ে।
এই গানটি সম্পর্কে সুকুমার মিত্র তাঁর 'নজরুল গীতি ও স্বরলিপি গ্রন্থে লিখেছেন- ''' এবাংর সুরদাসী বা সুরমল্লার প্রসঙ্গে বলি। এই রাগে নজরুলের বিখ্যাত গান 'এ ঘন ঘোর রাতে'। গানট রেকর্ডে গেয়েছিলেন জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী। গানটি নজরুল যে হিন্দি মূল গান অবলম্বনে রচনা করেছিলেন সেটি 'এ গরজত আয়ে বদবরা'। সম্ভবত নজরুল গানটি শুনেছিলেন সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কণ্ঠে এবং শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন। আমার সঙ্গীতগুরু আচার্য সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কাছে শুনেছি যে তারাপদবাবু গানটি পরিবেশন করেছেন নিজস্ব আঙ্গিকে'।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আষাঢ়, ১৪১৩/জুলাই ২০০৬] জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী'-এর রেকর্ডে গাওয়া গান অবলম্বনে কৃত স্বরলিপি। ষষ্ঠ গান। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণবসঙ্গীত। ঝুলনোৎসব
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- রাগ: সুর মল্লার
- তাল: ত্রিতাল
- গ্রহস্বর: ণ