(এই) পৃথিবীতে এত শক্তির খেলা আমরা পাই (ei prithibite eto shoktir khela)
(এই) পৃথিবীতে এত শক্তির খেলা আমরা পাই না খেলিতে।
(তোর) বিপুল ভুবনে আমাদেরই ঠাঁই নাই মা হাত পা মেলিতে॥
দশভুজা দশ দিকে একি আনন্দে
নৃত্য করিস প্রাণের১ ছন্দে
মোরা দুর্বল তারি তালে তালে পারি না চরণ ফেলিতে॥
কোন অপরাধে কার অভিশাপে পাই এ শাস্তি বল মা
দনুজ দলনী এই শৃঙ্খল প্রবল চরণে দল মা।
নিষ্ঠুর হাতে দূরে ফেল টানি
জীবনের এই দাসত্ব গ্লানি
ঢেকে ফেল এই দারুন লজ্জা মা তো রক্ত-চেলিতে॥
- ভাবসন্ধান: জগৎ জুড়ে চলেছে নানা শক্তির লীলা। তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না সাধারণ ভক্তের দল। জগৎজননী দুর্গার এই বিপূল ভুবনে অশুভ শক্তির মাঝে, তারা আশ্রয়হীন। সেখানে চলাফেরার মতো স্থানও যেন নেই। এই দশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য এই গানে ভক্তদের প্রার্থনা- এই গানের মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
দশভূজা (দুর্গা) আনন্দময়ী হয়ে প্রাণের ছন্দে নৃত্যানন্দে বিভোর। সে আনন্দ-নৃত্যের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ ভক্তের দল চলতে পারে না। তারা খুঁজে পায় না, কোন অপরাধে তারা শাস্তি পায় প্রতিনিয়ত। তাই দেবীর কাছে ভক্তদের প্রার্থনা, যেমন করে দেবী দনুজদলনী হয়ে প্রবল দানবের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছিলেন, তেমনি করে তাঁর নিষ্ঠুর হাতে জীবনের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তাঁদের দাসত্বের গ্লানিময় জীবন থেকে মুক্ত করুক। সকল গ্লানি লজ্জা ঢেকে দিক রক্তাম্বরা দেবী তার রক্ত-চেলিতে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংখ্যা ১৯৯৬।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। দুর্গা। জগৎকল্যাণী। দেবীর আহ্বান