এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি (ei sundor ful sundor fol)

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি
                    খোদা তোমার মেহেরবানী।
শস্য-শ্যামল ফসল-ভরা মাঠের ডালিখানি
                    খোদা তোমার মেহেরবানী॥
            তুমি কতই দিলে রতন
            ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
ক্ষুধা পেলেই অন্ন জোগাও মানি চাই না মানি॥
খোদা তোমার হুকুম তরক করি আমি প্রতি পায়
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
            শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
            তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে
পথ না ভুলি তাইতো দিলে পাক কোরানের বাণী॥

  • ভাবসন্ধান: এই গানটিতে মহান আল্লার মহিমা উপস্থাপন করা হয়েছে পার্থিব জীবনের নানা উপমার মাধ্যমে। তাই এই গানের প্রতিটি পঙ‌ক্তির শেষে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনার্থে  উচ্চারিত হয়েছে- 'খোদা তোমার মেহেরবানি (দয়া)'।

    কবি মনে করেন- এই পৃথিবীর সুন্দর ফল-ফুল. নদীর মিষ্টি পানি সবাই আল্লাহ দয়া করে তাঁর সৃষ্ট মানুষের জন্য তৈরি করেছেন। তিনি পৃথিবীকে সুফলা শস্য শ্যামল প্রান্তরকে সাজিয়েজেন উপহারের ডালার মতো করে।  

    তিনি দিয়েছেন ভাই বেরাদর পুত্র স্বজনের মতো অমূল্য রতন। মানুষ খোদাকে মান্য করুক বা না করুক, দয়াময় আল্লাহ ক্ষুধা নিবারণের জন্য সাবইকে অন্নদান করে চলেছেন। মানুষ প্রতি পদক্ষেপে খোদার হুকুম তরক (লঙ্ঘন) করার পরও- তিনি মানুষকে আলো-বাতাস দিয়ে সজীব করে রাখেন। তাঁরই করুণায় মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি প্রেরণ করেছেন শ্রেষ্ট নবি হজরত মুহম্মদ (সাঃ)-কে। যাঁর তদবিরে রোজ হাশরের শাস্তি থেকে রেহাই পাবে পাপী তাপী মানুষ। মানুষ যাতে ভুল পথে না যায়, তাই তিনি পথনির্দেশক গ্রন্থ কোরান দিয়েছেন মানুষকে।
     

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৫), টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৯ মাস।

  • রেকর্ড: টুইন [ মার্চ ১৯৩৯ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৫)]। এফটি ১২৭৩৭। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন [শ্রবণ নমুনা]
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত ইসলামী গান। হামদ
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
    • তাল: কাহারবা
    • গ্রহস্বর:

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।