এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী (elo sharodoshree kash-kusum-bosona)
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী
ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী॥
যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে
সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে,
আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী॥
শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার,
অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার।
তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে
হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে,
সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার, ২৭ ভাদ্র ১৩৪৮) কলকাতা বেতারকেন্দ্র ক-এর তৃতীয় অধিবেশনে শারদশ্রী গীতিচিত্রটি প্রচারিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি রচনা ও প্রযোজনায় ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের যন্ত্রসহযোগিতায় ছিল- যন্ত্রী সংঘ এবং ধারা-বর্ণনায় ছিলেন অনিল দাস। সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন- চিত্তরঞ্জন রায়, শৈল দেবী এবং ইলা ঘোষ। ৭.৫৫ থেকে ৮.২৯ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ৩ মাস।
- গ্রন্থ:নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। গান সংখ্যা ১১৮৬। পৃষ্ঠা: ৩৬০-৩৮১।
- পত্রিকা: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ, ২১শ সংখ্যা। [১লা নভেম্বর ১৯৪১, ১৫ কার্তিক ১৩৪৮]। শারদ-শ্রী। গান সংখ্যা ১। পৃষ্ঠা: ১২৪১। [নমুনা]
- বেতার: শারদশ্রী। শরৎকালের বন্দনামূলক অনুষ্ঠান। কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে 'প্রচারিত। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার, ২৭ ভাদ্র ১৩৪৮)।
- সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ, ১৭শ সংখ্যা। [১লা সেপ্টেম্বর ১৯৪১, ১৫ ভাদ্র ১৩৪৮] পৃষ্ঠা: ১০৩৪
- The Indian listener. Vol VI No. 17 [August 22,1941] [page 83]