এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে বাঁধো ঝুলনা (elo shyamol kishor tomal-dale )
এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে বাঁধো ঝুলনা।
সুনীল শাড়ি পরো ব্রজনারী পরো নব নীপ-মালা অতুলনা॥
ডাগর চোখে কাজল দিও,
আকাশী রঙ প'রো উত্তরীয়,
নব-ঘন-শ্যামের বসিয়া বামে দুলে দুলে ব'লো, 'বঁধু, ভুলো না'॥
নৃত্য-মুখর আজি মেঘলা দুপুর,
বৃষ্টির নূপুর বাজে টুপুর টুপুর।
বাদল-মেঘের তালে বাজিয়া বেণু,
পাণ্ডুর হ'ল শ্যাম মাখি' কেয়া-রেণু,
বাহুতে দোলনায় বাঁধিবে শ্যামরায় ব'লো, 'হে শ্যাম, এ বাঁধন খুলো না'॥
- ভাবসন্ধান: বর্ষায় রাধাকৃষ্ণের ঝুলনোৎসবের জন্য রচিত এ গানে পাওয়া উপস্থাপিত হয়েছে- কাজরির নৃত্য-গীতের চিত্রময় রূপ। এই উৎসব উপলক্ষে এসেছেন শ্যামক কিশোররূপী কৃষ্ণ। শ্যামকে ঝুলনের দোলনায় দুলে দুলে প্রণয়ডোরে বাঁধার জন্য রাধার কাছে কবি অনুরোধ করেছেন।
তাই তমাল ডালে ঝুলনোৎসবের জন্য দোলনা বাঁধতে ব্রজনারী রাধাকে অনুরোধ করা হয়েছে। তখন তাঁর পরনে থাকবে নীলাম্বরী শাড়ি, গলায় থাকবে নতুন কদম ফুলের মালা। তাঁর ডাগর চোখে থাকবে কাজল, উত্তরীয় হবে আকাশ-নীল বর্ণের। এরপর রাধা বসবেন নব মেঘবর্ণের শ্যামের বাম পাশে। কবির অনুরোধ সে সময়ে রাধা যেন দোলনায় দুলে দুলে শ্যামকে বলেন- 'বঁধু, ভুলো না'।
এমন বর্ষার মেঘলা দুপুর নৃত্যমুখর হয়ে উঠেছে বৃষ্টি-নূপুরের টাপুর টুপুর ধ্বনিতে। বাদল মেঘের ছন্দে বেজে উঠেছে প্রণয়-বেণু। কেয়া-রেণু মেখে শ্যাম হয়ে উঠেছেন পাণ্ডুবর্ণ। এমন দোলনায় দুলে দুলে শ্যাম যখন রাধাকে বাহুডোরে বাঁধবেন, তখন রাধা যেন বলেন- হে শ্যাম, এ বাঁধন খুলো না'।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ১ মাস।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- গানের মালা
- প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। গানের মালা ৫৯। কাজরী-লাউনী
- নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। গানের মালা ৫৯। কাজরী-লাউনী। পৃষ্ঠা ২২৭]
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান সংখ্যা ৮২৬।
- সুরলিপি। [১৬ আগষ্ট ১৯৩৪ (বুধবার, ৩১ শ্রাবণ ১৩৪২)]। জগৎঘটক-কৃত স্বরলিপি। প্রকাশক: নজরুল ইসলাম। কাজরী-কার্ফা।
- গানের মালা
- রেকর্ড: এইচএমভি [জুলাই ১৯৩৪ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪১)। এন ৭২৫০। শিল্পী: সুধীর দত্ত। রাগ: তিলককামোদ][শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- জগৎঘটক। সুরলিপি। প্রকাশক: কাজী নজরুল ইসলাম [নমুনা]
- ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা] প্রথম গান।[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। ঝুলনোৎসব
- সুরাঙ্গ: কাজরী
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: মপা