এসে হাওড়ার হাটে (eshe haorar hate)

এসে হাওড়ার হাটে,
থেকো মন বিপাটে,
নেয় না যেন লুটে, আসিয়ে বাটপাড়।
নাও ভাই টিকিট করে,
পাঞ্জা মোহর মেরে,
চেপে প্যাসেঞ্জারে, যাবে হে তৎপর॥
লিলুয়া, বালী আর উত্তরপাড়া,
শ্রীরামপুর, কুচনগর পঞ্চ অফিস ছাড়া,
বৈদ্যবাটীপুরে, বৈদ্যেশ্বরে ধরে
হুগলী ভিতরে, চলে গেল ঝড়॥
মিসনগর, বাটকে আর দেবীপুর,
মেমারীর উধারে দেখবে রসুলপুর
নামবে এসে গাংপুর, বর্ধমান মাশুর,
টিকিট করে দস্তুর, নিবে তড়বড়॥
এই কয়েক অফিস যদি ছাড় ভাই,
তালিতের উধারে জংশন পাওয়া যায়,
গলসী, পারাজ, হবে না নারাজ,
মান করে কি কাজ, যাবে পানাগড়॥
রাজবাঁধ কিংবা আর দুর্গাপুরে,
ওয়ারিয়া আর অণ্ডাল ধরে,
কালী পাহাড়ি ভিতরে, রানীগঞ্জ ধরে,
ইঞ্জিন গেল দুরে, নাম হে তৎপর॥
এসু ক্ষ্যাপা বলে, বত্রিশ অফিস কোথা?
যা জনা বলিবে, সেই আমার পিতা,
ধরেছে কুমতি, ছাড়িয়ে সুমতি
করে রতি রতি, ভেঙে দেবে ধড়॥

  • রচনাকাল: ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ (১৩১৭-১৩১৯ বঙ্গাব্দ)। বরধ্মান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে, নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসর বয়সের রচনা।
  • গ্রন্থ:
    • দুখুমিয়ার লেটো গান। চাপান সং। চাপান সং-টির নাম পাওয়া যায় নি [১]। সংকলক ও সম্পাদক: মুহম্মদ আয়ুব হোসেন। বিশ্বকোষ পরিষদ। নজরুল ফাউন্ডেশন। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪১০, ৬ ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ৪১২-১৩।
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। লেটোগান। গান সংখ্যা ২৯৩০]
       
  • বিষয়াঙ্গ: চাপান সং। নাম পাওয়া যায় নি। ভণিতা 'এসলাম মাস্টার'।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।