ত্রিজগত আলো করে আছে কালো মেয়ের পায়ের শোভা (trijogot alo kore achhe kalo meyer payer shova)
ত্রিজগত আলো করে আছে কালো মেয়ের পায়ের শোভা।
মহাভাবে বিভোর শঙ্কর, ঐ পা জড়িয়ে মনোলোভা॥
দলে দলে গগন বেয়ে গ্রহ তারা এলো ধেয়ে,
ঐ চরণ শোভা দেখবে বলে, ঐ পায়ের নূপুর হওয়ার ছলে
সেই শোভা কেমন বলতে গিয়ে ব্রহ্ম হলো চির মৌনী বোবা॥
ঐ চরণ শোভা দেখার তরে, যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে
ত্রিভুবন ভুলে অনন্তকাল যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে।
ও শুধু চরণ শোভা নয়, ঐ যে পরব্রহ্ম জ্যোতি
শ্রী চণ্ডী বেদ পুরানে ওরি প্রেম-আরতি
মা দেখ্তো যদি নিজের চরণ নিজেই দিত বিল্বজবা
আপনার ঐ রাঙা পায়ে নিজেই দিত বিল্বজবা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে (চৈত্র ১৩৪৬-বৈশাখ ১৩৪৭), এইচএমভি কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ১০ মাস।
- রেকর্ড:
- এইচএমভি [এপ্রিল ১৯৪০ (চৈত্র ১৩৪৬-বৈশাখ ১৩৪৭)। এন ১৭৪৪৪। শিল্পী: বীণা চৌধুরী। সুর-শৈলেশ দত্তগুপ্ত]
- এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ (ভাদ্র- আশ্বিন ১৩৫৫)। এন ৩১০৮২। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ। সুর-শৈলেশ দত্তগুপ্ত] [শ্রবণ নমুনা]
বি.দ্র.: দুটি রেকর্ডের সুর ভিন্ন।
- সুরকার: শৈলেশ দত্তগুপ্ত
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, বত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ফাল্গুন ১৪১৫। ফেব্রুয়ারি ২০০৯] ২৩ সংখ্যক গান। রেকর্ড বীণা চৌধুরীর গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- ইদ্রিস আলী। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চুয়াল্লিশততম খণ্ড। নজরুল ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত। আষাঢ় ১৪২৪/জুন ২০১৮] পৃষ্ঠা: ৮৫-৯১[নমুনা]
- পর্যায়