সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা (soi koi lo amar ghor nikobar nyata)
স্ত্রী : সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা।
পুরুষ : আহা ন্যাতা নয় গো শীতের কাঁথা এই যে আমি হেথা॥
স্ত্রী : সই-লো ওলো সই, আমার ছাই ফ্যালবার ভাঙা কুলো কই?
পুরুষ : কুলোর বাতাস চুলোর ছাই
স্বামী বলো কিম্বা ভাই, (ওলো) এই যে তোমার আমি।
উভয়ে : মিলেছি রাজ যোটক দুয়ে
পুরুষ : গিঁটে বাত ওরে বাবা রে বাবা গিঁটে বাত
স্ত্রী : আর ফিকের ব্যথা, ওরে মা রে, মা আর ফিকের ব্যথা॥
ওলো সই বাপের বাড়ি যাব আমি এ ঘরে রব না,
পুরুষ : দেখো পুরুষের রাগ করে আনাগোনা
আমিও যাব শ্বশুর বাড়ি, ওরে রেমো নিয়ে আয় ব্যাগ ছাতা।
উভয়ে : নথে এবং নাথে এম্নি যুদ্ধ।
পুরুষ : গুঁতোগুতি
স্ত্রী : জড়াজড়ি
পুরুষ : ছাতা-ছড়ি
স্ত্রী : খুনতি-বেড়ী
উভয়ে : হাতা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৪) টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৬ মাস।
- রেকর্ড: টুইন [ডিসেম্বর ১৯৩৭ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৪)। এফটি ১২১৯৩। শিল্পী: গোপাল ভট্টাচার্য ও রাধারাণী। সুর: রঞ্জিত রায়। বিষয়: হাসির গান]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা] ২৩ সংখ্যক গান। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: হাসির গান
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: র্সা