নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে খঞ্জনা (nodir name soi onjona nache tire khonjona)

নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে খঞ্জনা,
পাখি সে নয় নাচে কালো আঁখি।
আমি যাব না আর অঞ্জনাতে জল নিতে সখি লো,
ঐ আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি॥
সেদিন তুলতে গেলাম দুপুর বেলা
কলমি শাক ঢোলা ঢোলা (সই)
হ’ল না আর সখি লো শাক তোলা,
আমার মনে পড়িল সখি, ঢল ঢল তা’র চটুল আঁখি
ব্যথায় ভ’রে উঠলো বুকের তলা।
ঘরে ফেরার পথে দেখি,
নীল শালুক সুঁদি ও কি
ফু’টে আছে ঝিলের গহীন জলে।
আমার অমনি পড়িল মনে
সেই ডাগর আঁখি লো
ঝিলের জলে চোখের জলে হ’ল মাখামাখি॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৯) মাসে মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৩ মাস।
  • গ্রন্থ:
    • বনগীতি
      • প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)। গান সংখ্যা ৭। গ্রাম্যসঙ্গীত । পৃষ্ঠা: ১১-১২] ।
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। ৭ সংখ্যক গান। গ্রাম্যসঙ্গীত। পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। ২২৫০ সংখ্যক গান।  তাল: কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৬৭৪।
  • রেকর্ড: মেগাফোন [সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৯)]। জেএনজি ৬। শিল্পী: আব্বাসউদ্দিন [শ্রবণ নমুনা]
     
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ‌: প্রেম
    • সুরাঙ্গ: ভাওয়াইয়া অঙ্গের সুর। আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে -'নদীর নাম সই কচুয়া' ভাওয়াইয়া শুনে- নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।