আমার অহঙ্কারের মূল কেটে দে কাঠুরিয়ার মেয়ে (মা, মা গো) ( amar ohongkarer mul kete de kathuriar meye [ma,ma go])
মা, মা গো ─
আমার অহঙ্কারের মূল কেটে দে কাঠুরিয়ার মেয়ে,
কত নিরস তরু হ’ল মঞ্জুরিত তোর চরণ-পরশ পেয়ে॥
রোদে পুড়ে জলে ভিজে মা দিয়েছি ফুল ফল
শাখায় আমার, নীড় বেঁধেছে বিহঙ্গের দল।
বটের মত সারা দেহ মাগো মায়ার জটে আছে ছেয়ে॥
ও মা মূল আছে তাই বৈতরণীর কূলে আছি পড়ি
নইলে হ’তাম খেয়াঘাটের পারাপারের তরী।
তুই খড়গের ভয় দেখাস মিছে
মুক্তি আছে এরি পিছে মাগো
তোর হাসির বাঁশি শুনতে পাবো অসির আঘাত খেয়ে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৫৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৯ মাস। উল্লেখ্য, এই সময় নজরুল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ৮৮১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৭১।
- রেকর্ড: এইচএমভি [মার্চ ১৯৪৯ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৫৫)]। এন ২৭৯৯০। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ।] [শ্রবন নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- আহসান মুর্শেদ [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০)। ১৬ সংখ্যক গান। রেকর্ডে মৃণালকান্তি ঘোষ-এর গাওয়া সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। পৃষ্ঠ: ৫২-৫৩] [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দধ ধর্ম, শাক্ত)
- সুরাঙ্গ: রামপ্রসাদী
- তাল: দাদরা।
- গ্রহস্বর: সা