আমার হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে (amar hridoy odhik ranga ma go ranga jobab cheye)

              তাল: দাদ্‌রা
আমার  হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে,
আমি    সেই জবাতে ভবানী তোর চরণ দিলাম ছেয়ে॥
                 মোর বেদনার বেদির ‘পরে
                 বিগ্রহ তোর রাখবো ধ’রে,
         পাষাণ দেউল সাজে না 
 তোর আদরিণী মেয়ে॥
         স্নেহ পূজার ভোগ দেবো মা, অশ্রু-পূজাঞ্জলী,
         অনুরাগের থালায় দেবো ভক্তি-কুসুম-কলি।
                 অনিমেষ আঁখির বাতি
                 রাখবো জ্বেলে দিবস রাতি,
তোর   রূপ হবে মা আরও শ্যামা (আমার) অশ্রুজলে নেয়ে॥

 

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ ১৩৪৪) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের 'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা' এবং কল্পতরু সেনের 'নজরুল গীতি সহায়িকা গ্রন্থ অনুসরণে জানা যায়, টুইন কোম্পানির  'এফ.টি ১২২৬৯' রেকর্ডে এই গানের সাথে অপর একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল ১ মাসের ব্যবধানে। যা অসম্ভব।  উদাহরণ-

    টুইন কোম্পানির  'এফ.টি ১২২৬৯' রেকর্ডে নম্বরে দুটি গানের উল্লেখ রয়েছে। গান দুটি হলো-  'শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা' ও 'আমার অধিক রাঙা মাগো'। কিন্তু রেকর্ড প্রকাশের সময় উল্লেখ করা হয়েছে-
    • আমার অধিক রাঙা মাগো।  টুইন। জানুয়ারি ১৯৩৮। এফ.টি ১২২৬৯।  শিল্পী: জিতেন চক্রবর্তী
    • শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা। টুইন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮। এফ.টি ১২২৬৯।  শিল্পী: জিতেন চক্রবর্তী

রেকর্ডের কালানুক্রমিক প্রকাশের তালিকা অনুসরণ করলে, ধারণা করা যায়, এই রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৭ মাস।

  • রেকর্ড: টুইন। জানুয়ারি ১৯৩৮  (পৌষ-মাঘ ১৩৪৪) এফটি ১২২৬৯। জিতেন চক্রবর্তী [শ্রবণ নমুনা]
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্‌রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, দ্বাবিংশ খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা ভাদ্র, ১৪০৭/ সেপ্টেম্বর, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ] দ্বিতীয় গান। [নমুনা]
     
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (শাক্ত, শ্যামা সঙ্গীত)
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয়
    • তাল: দাদরা
    • গ্রহস্বর: সা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।