এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে (e ki e modhu shyam-birohe)

রাগ: সারঙ্গ, তাল: ত্রিতাল
এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে।
হৃদি-বৃন্দাবনে নিতি রসধারা বহে॥
গভীর বেদনা মাঝে
শ্যাম-নাম-বীণা বাজে
প্রেমে মন মোহে যত ব্যথায় প্রাণ দহে॥  

  • ভাবসন্ধান: খেয়ালাঙ্গের দুই তুকের এই গানটিতে মধুর শ্যামবিরহের অপরিণত ভাবের পূর্ণ রূপ পাওয়া যায় না। কারণ এ গানের বাণী খেয়ালের সুরের বাহন মাত্র।

    কোনো এক শ্যাম-অনুরাগিণী প্রতিনিয়ত শ্যামকে অনুভব করেন তাঁর হৃদি-বৃন্দবনে। শ্যামকে কাছে না পেলেও, তাঁর মনের গভীরে কৃষ্ণকে সযতনে রেখেছেন প্রেমে মোহিতা এই বিরহিণী। তাই তাঁর মনোলোকে নিয়ত বয়ে চলেছে, প্রেমের রসের ফল্গুধারা।  তাই শ্যামের বিরহের মাঝে বিরহিণী খুঁজে পায় মধুর অনুভব।

    প্রেমের বিরহকে বিরহিণী যতই মধুর বলুক, বিরহ যে তার কাছে যাতনাময়, তা এই গানের অন্তরাতে প্রকাশ পায়। বিরহিণী  এখানে শ্যাম-বিরহের গভীর বেদনায় কাতরা। সেখানে শ্যাম-নাম-বীণায় বাজে বিরহের করুণ সুর। যতই কৃষ্ণের প্রতি তাঁর প্রেম জেগে ওঠে তার মনে, ততই যেন বিরহ-ব্যথায় প্রাণে দহনের জ্বালা তীব্রতর হয়ে ওঠে। 

     
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৬) মাসে  এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি প্রথম গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৯ মাস।
     
  • রেকর্ড: এইচএমভি [মার্চ ১৯৪০ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৬)]। এন ১৭৪৩৫। শিল্পী: দীপালি তালুকদার  [শ্রবণ নমুনা]
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
  • সুরকার: নজরুল ইসলাম
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। কৃষ্ণ-বিরহ।
    • সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
    • রাগ: বৃন্দাবনী সারং
    • তাল: ত্রিতাল
    • গ্রহস্বর: ণ্

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।