(কার) ঝর ঝর বর্ষণ বাণী (kar jhoro jhoro borshon bani)

       (কার) ঝর ঝর বর্ষণ বাণী
        যায় দিক্ দিগন্তে বেদনা হানি'॥
        করুণ সুরে দূর অলকায়
        যেন অবিরল বীণা বাজায়
                        বিরহের বীণাপাণি॥
        গীত পিপাসিত বসুন্ধরা
        শোনে সেই সুর প্রাণ উদাস করা।

  • ভাবার্থ: প্রকৃতির ঋতু-পরিবর্তনের সাথে রয়েছে- মানুষের মনের গভীর সম্পর্ক। কখনো কখনো মানুয প্রকৃতিকে তার মনোবিকারের অনুসঙ্গী, কখনো বা অংশভাগী করে তোলে। তাই একই বর্ষা কখনো হয়ে ওঠে শৃঙ্গারে সিক্ত সম্ভোগের, কখনো বা বিরহের। এই ধারায় এই গানে বর্ষার শৃঙ্গার রসসিক্ত বিরহের ভাব উপস্থাপিত হয়েছে অংশভাগী হয়ে। তাই প্রকৃতি ও প্রেমের যুগপৎ সম্মিলনে এই গনাটি  হয়ে উঠেছে প্রকৃতি ও প্রেমের।

    এই গানের বর্ষার ঝরে পড়া ঝর ঝর জলধারা, কোন এক বিরহকাতরার বিরহকে উসকে দিয়েছে। এই বিরহীর অশ্রু যেন ঝর ঝর জলধারা হয়ে প্রকৃতিকেও ক্রন্দনসিক্ত করে তুলেছে। সে বিরহবেদনা অশ্রসজল বাণী যেন অবিরাম বর্ষার দিক্-দিগন্তে আঘাত হেনে চলেছে। দূর অলকা (কুবেরের স্বর্গতূল্য নগরী) বীণাবাদিত বিরহীর সুর অবিরল বর্ষা ধারার মতো প্রকৃতিকে মথিত করে তুলছে। সঙ্গীত পিপাসিত বসন্ধুরা যেন সে উদাস করা সে সুর শোনে ব্যথিত হয়। সে সুর কাঁদায় আকাশ, বাতাস, অরণ্য পথপ্রান্তরকে।
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪২) মাসে টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ২ মাস।
  • রেকর্ড:
  •  বেতার:
    • হারামণি-১১। কলকাতা বেতারকেন্দ্র-ক। চতুর্থ অধিবেশন । ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৩৪৭)। সান্ধ্য অধিবেশন। ৬-০৫-৬-১৯ মিনিট।  সংগঠক: কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী।
      • বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ, ১৮শ সংখ্যা। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪০। অনুষ্ঠান সূচী। পৃষ্ঠা: ৯৯৮
      • The Indian-listener 1940, Vol V, No 18. page 1421
         
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশনজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চতুর্দশ খণ্ড (নজরুল ইন্সটিটিউট)। দশম গান। রেকর্ডে গীতা বসু ও ধীরেন দাসের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
     
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।